ঈশ্বরগঞ্জ, (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শরীফুজ্জামান আকন্দ রানার বিরুদ্ধে বিএনপি জামাত-শিবিরের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করেছে হেটেল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা যায় হোটেল মালিক সিদ্দিক মিয়া ও অভিযুক্তরা সবসময় সিদ্দিকের হোটেলে খাওয়ার সুবাদে প্রায়ই নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা মুলক বাঙালীপনা বকাঝকা হয়। ঘটনার দিন বাবু সহ কয়েকজন হোটেলে রুটির ওর্ডার করে। বাবু রুটি ওর্ডার করার পর যারা রুটি ওর্ডার করেছিল তাদের আগে রুটি দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠাট্টামূলক কথাবার্তা হয়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে হোটেলে থাকা প্লেট গ্লাস ভাংচুর হয়।
হোটেলের পাশেই বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাজার করছিলেন জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শরীফুজ্জামান আকন্দ রানা। উচ্চ বাচ্চ ও ঝগড়ার শব্দে ঘটনায় উৎসুক জনতা টেলে দেখতে চাইলে দেখেন তার পরিচিত বাবুসহ কয়েকজনে সাথে হোটেল মালিকের ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতির ঘটনা । ঝগড়াঝাঁটি থামনোর জন্য ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন এই নেতা। ফলে তিনি ঝগড়া না করেও মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছেন বলে জানা যায়।
এই ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শরিফুজ্জামান আকন্দ রানা বলেন ‘আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে ঝগড়া থামানোর জন্য ঘটনাস্থলে আসি। পূর্ব থেকে আমি এই ঘটনার কিছুই জানতাম না। আমি কিডনি রোগে আক্রান্ত। এই ঘটনায় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। তবে এই হোটেলের মালিক ও কর্মচারীদের আচরণ সন্দেহজনক এবং প্রায়ই বিএনপি ও জামাত-শিবিরের লোকজন এই হোটেলে যাওয়া আসা করে। তাদের ইন্দনে বর্তমান সরকারের বদনাম করার জন্য এটি একটি ষড়যন্ত্র। তবে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি খুব সৎ। তিনি তদন্ত করলে আমি অবশ্যই নির্দোষ প্রমাণিত হবো।
এদিকে সিদ্দিক মিয়ার জানান, অভিযুক্ত মো. বাবু মিয়া (২৮), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. আ: গণি (৪২), মো. ইমন(২২), মো: রানা (২৫), মো. জোবায়ের (২৩), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. শামীম(২৮), মো. জহিরুল ইসলাম (২২), মো. নাজমুল (২২), মো. রায়হান (২১), ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য মো. শরীফুজ্জামান আকন্দ রানা(৪৫) হোটেলে এসে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় কিছুক্ষণ পর লাঠিসোটা নিয়ে ছেলে সাফায়েতকে মারধোর করে চলে যায়। পূর্ব ঘটনার সূত্র ধরে মঙ্গলবার সন্ধায় হোটেলে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলায় আহতেরা হলেন, আমি নিজেসহ সাফায়াত হোসেন (২৮), কর্মচারী রুবেল (৩৫), সোহাগ (২০), নুরুদ্দিন (৪৭), জুয়েল (৩০) ও রুবেল (১৮)। হামলাকারীরা এসময় দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে কেউ টাকা লুটপাটের বিষয়টি দেখেনি বলে জানা যায়।